ইন্টারনেট জগতে সুপরিচিত বগুড়ার আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের নির্বাচনী লড়াই করা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আপিলের ফলাফলে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ২রা ডিসেম্বর বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে হিরো আলমসহ ১৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের দিনে হিরো আলমসহ সাতজনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। তার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছিলেন হিরো আলম।
ওই সময় রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন নিলে তাঁকে তাঁর নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর লাগে। তবে আশরাফুল ইসলাম আলম ভোটারদের স্বাক্ষরসংবলিত যে তালিকা জমা দিয়েছেন, তা যাচাই করে দেখা গেছে তিনি ভুয়া ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছেন। ১০ জনের স্বাক্ষর গড়মিল থাকায় তার এ মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হিরো আলম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু দলটির মনোনয়ন না পেয়ে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া হিরো আলম।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর হিরো আলম বলেন, ষড়যন্ত্র করে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি নিয়ম মেনেই সব দাখিল করেছিলাম। কিন্তু ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্রে মাঠ ছাড়ব না। আপিল করব। আগেই বলেছিলাম শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকব, এখনো সে সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।
এর মধ্য দিয়ে হিরো আলমের নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে আরো প্রতিবন্ধকতার তৈরি হলো। তবে এখনও একটা সুযোগ রয়েছে।
আজ নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, হিরোকে জিরো বানানো এত সহজ নয়, এত সহজে মাঠ ছেড়ে যাচ্ছি না। উচ্চ আদালতে আপিল করবো।